ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ব্রোঞ্জের তৈরি উড়ন্ত প্যাঁচার খোঁজে গুপ্তধন সন্ধানীরা!  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৯, ২৫ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৪৩, ২৭ আগস্ট ২০১৮

ব্রোঞ্জের তৈরি একটি উড়ন্ত প্যাঁচার মূর্তি ফ্রান্সের কোথাও লুকানো আছে। এর সন্ধান যে পাবেন,তিনি পেয়ে যাবেন গুপ্তধনের খোঁজ। গত ২৫ বছর ধরে এই গুপ্তধন খোঁজা হচ্ছে। এই গুপ্তধনের বিষয়ে প্রথম একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। এর লেখক ছিলেন ম্যাক্স ভ্যালেন্টিন।‘সোনালি প্যাঁচার খোঁজে’ নামে ওই বইতে গুপ্তধনের বিষয়ে কিছু সূত্র দেওয়া হয়েছে।    

ম্যাক্স ভ্যালেন্টিন জানান, বইটি লেখার আগে তিনিই সোনা ও রুপার তৈরি প্যাঁচার ভাস্কর্যটি ফ্রান্সের কোনো এক স্থানে লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু তা হাতের নাগালে আনতে আগে খুঁজে বের করতে হবে ব্রোঞ্জের তৈরি আরেকটি প্যাঁচার ভাস্কর্য।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ‘একসময় গুপ্তধন নিয়ে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বই ছিল ‘ম্যাসকিউরেড’। এতে একটি সোনার খরগোশ খুঁজে বের করতে জটিল ধাঁধা দিয়েছিলেন শিল্পী কিট উইলিয়ামস।এই ধরনের সব ধাঁধার রহস্য শেষ পর্যন্ত উন্মোচন হয়েছে। কিন্তু ফরাসি এই বইয়ে উল্লেখ করা প্যাঁচার রহস্য এখনও বের হয়নি। ২৫ বছর পরও শত শত মানুষ এই গুপ্তধন খুঁজে বেড়াচ্ছে।

এই প্যাঁচা-রহস্য নিয়ে ইন্টারনেটে বিশেষ ফোরাম তৈরি হয়েছে। যারা নিয়মিত আলোচনার বাইরেও প্রতিবছর বিশেষ সভায় মিলিত হন। এমনকি ফ্রান্সের আদালতে গুপ্তধন অনুসন্ধানকারীদের স্বার্থ দেখার জন্য একটি সমিতিও তৈরি হয়েছে।

ম্যাক্স ভ্যালেন্টিনের বইটিতে থাকা ১১টি ধাঁধার ভেতর গুপ্তধনের আসল সন্ধান রয়েছে বলে মনে করা হয়। এই ধাঁধা অনুসরণ করে প্রথমে ফ্রান্সের একটি শহর শনাক্ত করতে হবে। এরপর আরও ১২টি ধাঁধার রহস্য ভেদ করে সেই শহরের ভেতর লুকানো গুপ্তধনটির স্থান শনাক্ত করা যাবে। 

২০১০ সালে মারা যাওয়ার আগে ভ্যালেন্টিন বেশ কিছুদিন একটি চ্যাট লাইন চালাতেন। যেখানে গুপ্তধন অনুসন্ধানকারীরা তাকে প্রশ্ন করতে পারতেন। এখন তার সেসব উত্তর একত্রে ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে এবং সেগুলোকে এই গুপ্তধন খোঁজার একটি তথ্যাগার বলে মনে করা হচ্ছে। 

মৃত্যুর আগে গুপ্তধনের রহস্য ভ্যালেন্টিন একটি চিঠিতে লিখে মুখবন্ধ খামে রেখে গেছেন, যা এখন তার পরিবারের কাছেই রয়েছে।

কেআই/এসি    

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি